মঙ্গলবার ● ২৮ অক্টোবর ২০২৫
প্রচ্ছদ » ইসি ও নির্বাচন » জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
![]()
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা হস্তান্তরের পর ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক আদেশ দেওয়ার পর এবং জাতীয় সংসদে সাধারণ নির্বাচনর আগে সরকারকে গণনভোট অনুষ্ঠান করতে হবে। আমরা এটা লিখিতভাবে বলেছি। এর বাইরে আমরা সরকারকে আজকে বলেছি, অবিলম্বে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে আলাপ আলোচনা করে একটি তফসিল, (গণভোট) নির্বাচনের তফসিল তৈরি করে ফেলে।”
ফরেন সার্ভিস একাডেমিকে এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ জানান, গণভোটের ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এখনও আছে। এ প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন এবং গণভোট অনুষ্ঠান সকলেই মনে করেছে সবার অংশগ্রহণের জন্য এটা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যকীয়।
তিনি বলেন, “আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট করার কথাও সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছি। তবে এই আদেশ জারির পর থেকে যে কোন দিন গণভোট করতে পারবে। তবে কবে করবে সেটার সিদ্ধান্ত সরকার নেবে, সরকারকে বলেছি নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ করার জন্য বলেছি। প্রয়োজনীয় সংশোধন সংযোজন, পরিবর্তনের জন্য আমরা সাংবিধানিক পাওয়ার হিসেবে জনগণের ক্ষমতা যেন ব্যবহৃত হয়, সেজন্য এই প্রস্তাব করেছি। আমরা আশা করি যে এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তা অর্জন করা যাবে।”
আলী রীয়াজ বলেন, “তবে আমাদের আরো একটি বিকল্প প্রস্তাব আছে। আমাদের দ্বিতীয় বিকল্প প্রস্তাব যেমনটি আমি আগেই বলেছি শুরুতে যে প্রক্রিয়ার দিক থেকে একটা বড় অংশই একই রকম। একটি ব্যতিক্রম ছাড়া। আমাদের দ্বিতীয় বিকল্পেও বলা হচ্ছে যে সরকার একটি আদেশ করবেন। সেই আদেশের অধীনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটে একটি মাত্র প্রশ্ন থাকবে। তবে ওই আদেশের তফসিলে যে ৪৮ টি বিষয় আছে সেগুলো অন্তর্র্বতী সরকার সেগুলোকে বিল আকারে প্রস্তুত করেও জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন।
“যখন বিল হিসেবে উপস্থাপিত হবে এবং গণভোটের মধ্য দিয়ে যদি জনগণের সম্মতি লাভ করা যায় তবে ওই বিলটি সংবিধান সংস্কার পরিষদের কাজে সহযোগিতা করবে। এটা কোন অবস্থাতেই কেবলমাত্র তাদের গ্রহণের জন্য দেয়া হবে না। এটি যেন তাদের কাজের সহযোগিতা করে। অর্থাৎ সংবিধান সংস্কারের জন্য যে পরিষদ তৈরি হবে। সেই পরিষদ জুলাই জাতীয় সনদের স্পিরিট কে ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন সংযোজন পরিবর্জন পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে এই বিল যেহেতু জনগণের দ্বারা যদি অনুমতিত হয় তবে এটি তাদের সাহায্য করবে।”
তিনি বলেন, “প্রয়োজনীয় সংশোধনের যে বিষয়গুলো জনগণের দ্বারা সম্মত হবে যদি সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে তাদের দায়িত্ব সম্পাদন করতে না পারেন, তাহলে গণভোটে পাশ হওয়া বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অর্থাৎ আপনা আপনি সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদগুলোকে প্রতিস্থাপন করবে। ২৭০ দিনের দায়িত্ব পালনের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদ তার কার্যক্রম সমাপ্ত করবে। নির্বাচনের পর থেকে জাতীয় সংসদ হিসেবে কার্যকর থাকবে। যদিও জাতীয় সংসদের সদস্যরাই সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হচ্ছেন। তথাপি আমরা প্রস্তাব করেছি। জাতীয় সংসদের সদস্যরা একাধিক ক্রমে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে আলাদা আলাদাভাবে শপথ গ্রহণ করবেন। সংবিধান সংস্কার পরিষদ তার নিজস্ব রুলস অফ প্রসিডিউর তৈরি করবে।
“সংবিধান সংস্কার পরিষদ জাতীয় সংসদের যিনি স্পিকার হবেন তিনি সংবিধান পরিষদের সভাপতিত্ব করবেন। তার অনুপস্থিতিতে ডেপুটি স্পিকার ওই সভার সভা ওই পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তাদের উভয়ের অনুপস্থিতিতে সংস্কার পরিষদে গঠিত সভাপতি প্যানেল থেকে ওই পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে সংবিধান সংস্কার পরিষদ তাদের দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন এবং কোন অবস্থাতেই এমন পরিস্থিতির সূচনা হবে না যে সরকারের দেয়া বিলগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাস্তবায়িত করতে হবে। আমরা এটা আস্থা রাখতে চাই।”
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে।





নিজ দলের প্রতীকে ভোট করবে জামায়াত
সিইসির সঙ্গে চলছে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সভা
কোনো চাপের কাছে মাথা নত করবে না কমিশন: সিইসি
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক সন্ধ্যায়
শাপলা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা অপ্রয়োজনীয়
১০ দলের কার্যক্রম অধিতকর তদন্তের নির্দেশ ইসির
সিইসি’র সঙ্গে বৈঠকে বসেছে এনসিপি’র প্রতিনিধি দল 