শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ন ১৪৩২
Swadeshvumi
বৃহস্পতিবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » ইসি ও নির্বাচন » একসঙ্গে দুই ভোটের তফসিল
প্রচ্ছদ » ইসি ও নির্বাচন » একসঙ্গে দুই ভোটের তফসিল
৪ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

একসঙ্গে দুই ভোটের তফসিল

# ৭ ডিসেম্বর কমিশন সভায় তফসিলের খসড়া চূড়ান্তের পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা

# ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে কমিশন— এরপর যে কোন সময় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা

বিশেষ প্রতিবেদক

---

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সার্বিক প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত ধাপে। এবার তফসিল ঘোষণার অপেক্ষা। প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার আগে শুধু রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার রীতি থাকলেও এবার সেই রীতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে তফসিলের খসড়া নিয়ে প্রথমে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। তবে সাক্ষাতের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছে কমিশন। এরপর যে কোন সময় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।

একসঙ্গে দুই ভোটের তফসিল এবং নির্বাচন প্রস্তুতির নানা দিক, রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব, দলগুলোর পরামর্শ, আরপিও সংশোধন, নতুন দলকে নিবন্ধন দেওয়ার শেষমুহূর্তের কাজ সব মিলিয়ে নানামুখী চাপে ইসি। সব ধরনের চাপ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল এবং আগামী বছরের ৮-১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোটের দিন নির্ধারণ করতে আগামী ৭ ডিসেম্বর কমিশন সভায় নির্বাচনের তফসিলের খসড়া করবে সংস্থাটি।

ইসির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, তফসিলের খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার পর কমিশন চাইছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসে পুরো পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে এবং ভোট আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি উপস্থাপন করতে। যদিও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এখনো নির্ধারিত হয়নি, তবে কমিশন বলছে তফসিল ঘোষণার আগে এই সাক্ষাৎকে তারা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখছে। অন্যদিকে, প্রথা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের তারিখ ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত ১০ ডিসেম্বর। ওই দিন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ সব কমিশনার বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনি প্রস্তুতি জানাবেন। সেখান থেকেই মূলত তফসিল ঘোষণার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন মিলবে।

এর আগে ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে গুরুত্বপূর্ণ কমিশন সভা, যেখানে তফসিলের সম্ভাব্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে। মনোনয়ন জমা, যাচাই–বাছাই, প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ সব দিক বিবেচনায় নিয়ে সেদিনই নির্ধারিত হবে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতিমূলক কাঠামো। ইসির অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, সাপ্তাহিক ছুটির আগে বা পরের কার্যদিবসে ভোট নির্ধারণের প্রবণতা এবারও বিবেচনায় রয়েছে। সেই হিসাবে ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর যে কোন সময় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। একই সঙ্গে এবার ভোটের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর পরিকল্পনাও আলোচনায় আছে।

নতুন দুটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও মিলতে পারে এবারের কমিশন সভায়। এছাড়া রাজনৈতিক সমতা ও সংবেদনশীল সময় বিবেচনায় এই প্রক্রিয়ায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে ইসি। সংশোধিত আরপিও, নিরাপত্তা ব্যবস্থার খসড়া, পর্যবেক্ষক নিয়োগ ও কিউআর কোড–নির্ভর পরিচয় যাচাই— সব প্রস্তুতিই এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইসির দাবি, তফসিল ঘোষণার পরপরই মাঠপর্যায়ে তাদের প্রস্তুতি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত করা যাবে।

সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশন এই প্রথম একই সঙ্গে দুটি নির্বাচন প্রক্রিয়া— সংসদ ও গণভোট আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছে। সামনে শুধু অপেক্ষা ৭ ডিসেম্বরের সভা এবং ১০ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ। আর তার আগেই যদি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক চূড়ান্ত হয়, তবে তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচনি প্রস্তুতিতে এবার আরেকটি নতুন ধাপ যুক্ত হবে।






আর্কাইভ