শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ন ১৪৩২
Swadeshvumi
মঙ্গলবার ● ২ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » ইসি ও নির্বাচন » ভোটারদের আস্থাহীনতা কাটিয়ে কেন্দ্রে আনার পরামর্শ ইইউ’র
প্রচ্ছদ » ইসি ও নির্বাচন » ভোটারদের আস্থাহীনতা কাটিয়ে কেন্দ্রে আনার পরামর্শ ইইউ’র
০ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২ ডিসেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ভোটারদের আস্থাহীনতা কাটিয়ে কেন্দ্রে আনার পরামর্শ ইইউ’র

নিজস্ব প্রতিবেদক

---

আগের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়া বিপুলসংখ্যক নাগরিককে এবার ভোটে আনাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বড় চ্যালেঞ্জ এমন মন্তব্য করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই আস্থাহীনতা দূর করে ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন সংস্থাটির রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন।

রাষ্ট্রদূত মিলার জানান, সময়মতো এবং সুশৃঙ্খল নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ ধরে রাখতে পারবে। সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই চার্টার সংক্রান্ত গণভোট একই দিনে আয়োজনের প্রস্তুতিতে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা ও সংগঠন দেখে তিনি সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের প্রস্তুতি দেখে মুগ্ধ। নির্বাচন কমিশনের অঙ্গীকার, পেশাদারিত্ব এবং লজিস্টিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা প্রশংসার দাবি রাখে।”

এ সময় তিনি জানান, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইইউ একটি বৃহৎ পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটি বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি ইইউর আস্থারই প্রতিফলন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ভোটার শিক্ষা ও জনসম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মাইকেল মিলার বলেন, “আপনাদের বহু নাগরিক প্রথমবারের মতো ভোটকেন্দ্রে যাবেন। সুতরাং ভোটার শিক্ষার বড় প্রয়োজন আছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের অর্থ কী, গণভোটের তাৎপর্য কী—এসব বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আরও সক্রিয় হতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, বৃহৎ দেশ হওয়ায় নিরাপত্তা ও লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ থাকবেই। তবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইসির প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করে ইইউ আশাবাদী।

আগের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া একটি প্রজন্ম তৈরি হয়েছে—এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “অনেকে আগের নির্বাচনগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিলেন; কেউ ভয় পেয়েছিলেন সহিংসতার আশঙ্কায়। সুতরাং তাদের আস্থা ফিরিয়ে এনে ভোটকেন্দ্রে আনা হবে নির্বাচন পরিচালনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”

ভোটদানের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে ‘বুদ্ধিমানের পদক্ষেপ’ বলে আখ্যায়িত করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বিবেচনায় সময় বৃদ্ধি ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সহায়ক হবে।

সামগ্রিক প্রস্তুতি উল্লেখ করে মাইকেল মিলার বলেন, “ইসির প্রস্তুতি আমরা সন্তুষ্ট। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে বলে আমরা আশাবাদী।”






আর্কাইভ