শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩২
Swadeshvumi
বুধবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » ৮ কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নারী কী শাস্তি পাবেন?
প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » ৮ কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নারী কী শাস্তি পাবেন?
০ বার পঠিত
বুধবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

৮ কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নারী কী শাস্তি পাবেন?

বিশেষ প্রতিবেদক

---

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে ৮টি কুকুরছানা হত্যার অভিযোগে নারী অভিযুক্ত নিশি রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা গেছে।

নিশি রহমান নামে ওই নারী ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তার স্ত্রী। এখন প্রশ্ন এ ঘটনায় তার কী ধরনের শাস্তি হতে পারে? দেশে প্রাণি নির্যাতন বা প্রাণি হত্যার আইনে কী বলা আছে? বর্তমান আইনে বাংলাদেশে প্রাণি হত্যার সর্বোচ্চ সাজা ২ বছর কারাদণ্ড।

বাংলাদেশে প্রাণি সুরক্ষার আইন

১৯২০ সালের পুরোনো ঞযব ঈৎঁবষঃু ঃড় অহরসধষং অপঃ বাতিল করে ২০১৯ সালে সরকার প্রণয়ন করে প্রাণি কল্যাণ আইন, ২০১৯। এ আইন অনুযায়ী প্রাণি দুই শ্রেণিতে বিভক্ত

পোষ্যপ্রাণি এবং মালিকানাবিহীন/পথপ্রাণি।

আইনে বলা আছে, কোনো যুক্তি ছাড়া মালিকবিহীন বা পথপ্রাণিকে হত্যা বা অপসারণ করা যাবে না। অর্থাৎ, পথকুকুর বা বিড়ালকেও ইচ্ছামতো হত্যা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

কোন কাজগুলো অপরাধ হিসেবে গণ্য

প্রাণি কল্যাণ আইনের ৬ ও ৭ ধারায় যেসব কাজ নিষ্ঠুরতা হিসেবে বিবেচিত— অঙ্গহানি করা,

বিষ প্রয়োগ করা, অকারণে হত্যা করা, নির্যাতন বা যন্ত্রণা দেওয়া, পানিতে ডুবিয়ে, বস্তাবন্দী করে, আঘাত করে বা অন্য যেকোনো কৌশলে প্রাণির জীবননাশ করায় এই সবকিছুই অপরাধ এবং শাস্তিযোগ্য।

আইনে যে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে

যদি কোনো প্রাণি মারাত্মক সংকটাপন্ন থাকে, বা অনিরাময়যোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়, এবং তাকে বাঁচিয়ে রাখা আরও কষ্টদায়ক বা নিষ্ঠুর হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে ব্যথাহীন মৃত্যু ঘটানো যেতে পারে। ব্যতিক্রম ছাড়া কোনো পোষ্য বা পথকুকুর/বিড়াল হত্যা করার সুযোগ নেই।

দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি কী?

প্রাণি কল্যাণ আইন, ২০১৯ অনুযায়ী— প্রথমবার অপরাধ করলে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, অথবা ১০,০০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড। দ্বিতীয়বার অপরাধ করলে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, অথবা ৫০,০০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড। এই শাস্তি পোষ্য ও মালিকানাবিহীন প্রাণি—উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

ভ্রাম্যমাণ আদালতও বিচার করতে পারে

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানিয়েছেন, প্রাণি কল্যাণ আইন অনুযায়ী প্রাণির প্রতি যেসব অপরাধের কথা বলা হয়েছে, সেগুলোর বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতও করতে পারে।

তবে গুরুতর ঘটনার ক্ষেত্রে নিয়মিত মামলায় আদালত সাজা দিতে পারে।






আর্কাইভ