শনিবার ● ৮ নভেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » শিক্ষাঙ্গন » রোহিঙ্গা শিক্ষায় নতুন কাঠামোর আহ্বান
রোহিঙ্গা শিক্ষায় নতুন কাঠামোর আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক
![]()
বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি সুসংহত, স্বীকৃত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা কাঠামো গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে জাস্টিস ফর অল-এর বার্মা টাস্ক ফোর্স নেতৃত্বাধীন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল।
সম্প্রতি ঢাকার গোল্ডেন টিউলিপ - দ্য গ্র্যান্ডমার্ক হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান।
এসময় বক্তারা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের চলমান চ্যালেন্জগুলো এবং শিক্ষার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
জাস্টিস ফর অল-এর সভাপতি ও বার্মা টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান বলেন, “বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ রোহিঙ্গাদের প্রতি যে পরিমাণ সহানুভূতি দেখিয়েছে, তা বিশ্বের আর কোনো দেশ দেখায়নি। এখন সময় এসেছে পরবর্তী সেতু নির্মাণের শিক্ষার। একটি সুসংহত ও স্বীকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে যেন রোহিঙ্গা শিশু, বিশেষ করে মেয়েরা, তাদের ভবিষ্যৎ থেকে বঞ্চিত না হয়।”
যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম এর সাবেক চেয়ারম্যান নাদিন মানজা বলেন, “বাংলাদেশের জন্য শিবিরে শিক্ষা প্রদান কেবল মানবিকতার কাজ নয়, এটি একটি কৌশলগত বিনিয়োগ। অশিক্ষিত প্রজন্ম নির্ভরতা ও অনিরাপত্তা বাড়াবে,কিন্তু শিক্ষিত প্রজন্ম শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উভয় দেশের (বাংলাদেশ ও বার্মা) জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে অবদান রাখতে পারে।”
এসময় আরোও বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম রাউন্ডটেবিল (ওয়াশিংটন, ডিসি) এর কো-চেয়ার নাদিন মাঞ্জা, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মুখপাত্র রিচার্ড রিওচ, পাথফাউন্ডার পলিসি স্ট্র্যাটেজিস (ওয়াশিংটন, ডিসি) এর প্রতিষ্ঠাতা সামীর হোসেনসহ অনেকে।
এই প্রতিনিধিদল, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও নীতিনির্ধারণ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে বহু বছরের গবেষণা ও সাম্প্রতিক মাঠ পরিদর্শনের ভিত্তিতে তাদের মূল সুপারিশ উপস্থাপন করে। তারা মাননীয় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক স্মারকলিপিতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ওপর জোর দেয়:
১. রোহিঙ্গা শিক্ষার জন্য একটি একীভূত জাতীয় নীতিমালা নির্দেশনা জারি করা;
২. একটি স্বীকৃত সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা, যা উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের পথ উন্মুক্ত করবে;
৩. মার্কিন মুসলিম ত্রাণ সংস্থাগুলোকে শিক্ষা উদ্যোগে অবদান রাখার সুযোগ দেওয়া, যাতে বিপুল পরিমাণ দাতব্য সম্পদ ও দক্ষতা কাজে লাগানো যায়।
উল্লেখ্য, প্রতিনিধিদলের অনুসন্ধান ১,০০০ রোহিঙ্গা নারীর ওপর করা জরিপ, শিক্ষাবিদ ও প্রশাসকদের সঙ্গে বিস্তৃত পরামর্শ এবং একাধিক শিবিরে স্কুল পরিদর্শনের ওপর ভিত্তি করে। গবেষণায় দেখা যায়, রোহিঙ্গা স্কুল-যুগের জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ নারী হলেও তাদের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত।





রাষ্ট্রীয় শোকে পাঁচ পরীক্ষা স্থগিত
ঢাবিতে নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল দাহ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে ডাকসুর মার্চ
২০২৬ সালের এইচএসসির সিলেবাস নিয়ে নতুন নির্দেশনা
ভর্তিতে স্কুল পায়নি সাড়ে ৭ লাখ শিক্ষার্থী
দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা
আজও অবস্থান-অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা
অবরোধের পাঁচ ঘণ্টা পর আলোচনার পরামর্শ পুলিশের, রাজি নয় শিক্ষার্থীরা 
