শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২
Swadeshvumi
মঙ্গলবার ● ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়ায় সরকারকে টোব্যাকোর কৃতজ্ঞতা
প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়ায় সরকারকে টোব্যাকোর কৃতজ্ঞতা
২ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়ায় সরকারকে টোব্যাকোর কৃতজ্ঞতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

---

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়ায় সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বাংলাদেশ টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যাডভোকেটস বাংলাদেশ (বিটিসিএ)।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫) বাংলাদেশ টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যাডভোকেটস বাংলাদেশ (বিটিসিএ) থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালি হলে সরকারের রাজস্ব আদায় কমে যাবে বলে তামাক কোস্পানিগুলো সরকারকে বিভ্রান্ত করে। বাংলাদেশে ২০০৫ সালে যখন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস হয়, সে বছর তামাক খাত থেকে রাজস্ব আয় ছিলো ২ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। সর্বশেষ (২০২৪-২৫) অর্থবছরে তামাক খাত থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে মোট ৪০ হাজার ৪১১ কোটি টাকা। সিগারেট কোম্পানি প্রচারণা ও নানা তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা জানতে পেরেছি, সিগারেট কোম্পানিগুলো আইন হতে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতার নিবন্ধন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা এবং ভ্রাম্যমান বিক্রয় নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বিধান, খুচরা শলাকা বিক্রি বন্ধ এবং নিকোটিন পাউচ নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত বিধান বাতিলের জন্য জোর লবিং চালাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, , সিগারেট কোম্পানি কতিপয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে আইনটি দূর্বল করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারী সংস্থাগুলো একদিকে সিগারেটের চোরাচালান সমস্যার কথা বলছে, আবার একই সাথে বিক্রেতাদের নিবন্ধন গ্রহণের বিরোধিতা করেছে। যা পরস্পর বিরোধী এবং চোরাচালান সমস্যা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা। সিগারেটের অবৈধ বানিজ্য, অবৈধ বিজ্ঞাপন, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাছে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি ইত্যাদি রোধ করতে বিক্রেতাদের নিবন্ধন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা জরুবি বলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বিক্রেতারা নিবন্ধিত হলে চোরাচাল এবং কর ফাঁকি বন্ধ হয়ে যাবে বলে সিগারেট কোম্পানি ও বিক্রেতারা বিরোধীতা করে। অবাক বিষয় হচ্ছে সরকারী সংস্থার কতিপয় কর্মকর্তা তাদের সাথে সুর মিলিয়ে থাকে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বেজা দেশে আরো একটি নতুন পণ্য নিকোটন পাউচ উৎপাদনের অনুমতি দিতে যাচ্ছে। দেশে এই নতুন আসক্তকারি এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর নিকোটন পাউচের ব্যবহার নেই। বাংলাদেশে এই ক্ষতিকর পণ্যটিকে নিষিদ্ধ করার এখনই উপযুক্ত সময়। কিন্তু বেজার চেয়ারম্যান ও একজন উপদেষ্টার প্রভাবের কারণে নিকোটিন পাউচ নিষিদ্ধ না করার জন্যও জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আইনের সংশোধনি থেকে উপর্যুক্ত বিষয়গুলো যদি বাদ হয়ে যায়, তাহলে তা দেশের কোটি তরুণদের স্বার্থকে উপেক্ষা করে কিছু সিগারেট কোম্পানি স্বার্থে এ কাজ হয়েছে বলে জনগণের কাছে প্রতীয়মান হবে।

দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের স্বার্থে, যুবকদের রক্ষায় সিগারেট কোম্পানির দাবির কাছে নতি স্বীকার না করার আহবান জানিয়ে আইনটি শক্তিশালী করতে দেশপ্রেমিক উপদেষ্টা, সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যমকে সর্তক থাকতে হবে। একই সাথে প্রধান উপদেষ্টাকে যুবকদের স্বার্থে ও জনগনের স্বার্থে আইনটি শক্তিশালী করার বিধানগুলো যাতে বাদ না যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা আহবান জানান তাঁরা।






আর্কাইভ