
মঙ্গলবার ● ১৪ অক্টোবর ২০২৫
প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » রূপনগরে ভয়াবহ আগুনে ৯ জনের মৃত্যু
রূপনগরে ভয়াবহ আগুনে ৯ জনের মৃত্যু
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে একটি গার্মেন্টস ও একটি কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ৯ জনের মরদেহ পেয়েছি। আমরা ধারণা করছি কেমিক্যাল গোডাউনে যখন আগুন লাগে, তখন বিস্ফোরণের ফলে বিষাক্ত গ্যাস বের হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের প্রথম যে ইউনিটগুলো এসেছিল সেখানে যে ফায়ার ফাইটাররা ছিলেন তারা আমাদের জানিয়েছেন, তারা এসে প্রথমে দেখেছেন অনেকেই ভবন থেকে বের হয়ে যেতে পেরেছেন। তারা (যারা মারা গেছেন) হয়তো বিস্ফোরণের পর বিষাক্ত গ্যাসের কারণে বের হতে পারেননি এবং ঘটনস্থলে মারা যান। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ আমরা বিস্তারিত তদন্ত করার পর জানতে পারব।’
তিনি বলেন, তবে আমাদের অপারেশন এখনো চলমান। ভেতরে এখনও আগুন জ্বলছে। ভবনটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। সে কারণে ফায়ার ফাইটারদেরও আমরা ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছি না। ওই ভবনে আমরা মানুষবিহীন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপাতত কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমরা সবাইকে বলব ওই ভবন থেকে ন্যূনতম ৩০০ গজ দূরে থাকবেন। আমরা সবাইকে বলছি যারা এখানে দায়িত্ব পালন করছেন তারা যেন কোনোভাবেই ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা না করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন। কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তারপরও ওই ভবনের আশপাশে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
এদিকে, বিকেল ৫টার দিকে নতুন করে চারটি অ্যাম্বুলেন্সকে ভবনের ভেতরে যেতে দেখা যায়। তবে ফায়ার সার্ভিস বা পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি— কেন অ্যাম্বুলেন্সগুলো সেখানে প্রবেশ করেছে। উপস্থিত জনতা ও স্বজনদের ধারণা, ভেতরে হয়তো আরও মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে, আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
তারা জানায়, গোডাউনের মালিকপক্ষ বা এখানে কর্মরত কাউকে আমরা খুঁজে পাইনি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের খুঁজছে কিন্তু কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া গোডাউনটি অনুমোদন নেই বলেও ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।