রবিবার ● ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » ইসি ও নির্বাচন » চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিরোধে সতর্ক থাকতে ইসির নির্দেশ
চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিরোধে সতর্ক থাকতে ইসির নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
![]()
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে চোরাগোপ্তা হামলা ও নাশকতা প্রতিরোধে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনকে ঘিরে যারা ভয় ও আতঙ্ক ছড়াতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
আজ রবিবার (২১ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে নির্বাচনি আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে দিনব্যাপী পর্যালোচনা বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
ইসি মো. সানাউল্লাহ বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখন থেকে নিয়মিত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। চোরাগোপ্তা হামলা পরাজিতদের কৌশল। শহর এলাকাকে টার্গেট করে ভয় সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা এসব চক্র শনাক্ত করেছি। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে।”
এই কমিশনারের ভাষ্য, “আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। নির্বাচন হবে উৎসবমুখর। এই শোক ও সংকটকে শক্তিতে পরিণত করে আমরা সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচন উপহার দিতে চাই।”
ইসি সানাউল্লাহ জানান, নির্বাচনি পরিবেশ বিঘ্নিত হয়— এমন কোনো কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। এ জন্য যা করা দরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাই করবে। যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বিশেষ নজরদারি এবং চেকপোস্ট কার্যক্রম জোরদার করা হবে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুই হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এসব অভিযান সম্পর্কে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এই একটি ঘটনায় নির্বাচনী উৎসবের আমেজ কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। তবে যারা উৎসবমুখর পরিবেশ নষ্ট করতে চায়, তারা ব্যর্থ হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “যারা নির্বাচন ও মানুষের নিরাপত্তা নষ্ট করতে চায়, তাদের প্রতি মানবিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
এর আগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় রবিবার বিকেল ৩টার দিকে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, তিন বাহিনী প্রধান বা তাদের প্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), এনএসআই, ডিজিএফআই, কোস্টগার্ড, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক এবং ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন। চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে সিইসির সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানরা। তফসিল ঘোষণার পর এটি ছিল তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে কমিশনের প্রথম বৈঠক। ইসি কমিশনার জানান, নির্বাচনে সেনাবাহিনীর এক লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে এবং প্রয়োজন হলে আরও সদস্য মোতায়েন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, যেসব প্রার্থী নিজেদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে মনে করছেন, তারা পুলিশের কাছ থেকে নিরাপত্তা পাবেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কিছু ঘটনা থাকলেও সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করছে। সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মূলধারার রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।





সরকারের দুর্বলতার কারণেই ‘মবতন্ত্র’ প্রশ্রয় পেয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
জাতীয় নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষকদের আবেদনের সময় বাড়লো ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত
তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি
জাতীয় নির্বাচন: ইসির কাছে নিরাপত্তা চাইলেন দুই প্রার্থী
প্রার্থীদের অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি: ইসি সচিব
নির্বাচন দেখতে এবার ইইউ থেকে আসছেন প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক
‘ডামি’ নির্বাচনের প্রার্থীদের ভোটে আসতে দেবেন না: ইসিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
গণমাধ্যমে সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ দিতে ইসির নির্দেশ 
