শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২
Swadeshvumi
মঙ্গলবার ● ২৮ অক্টোবর ২০২৫
প্রচ্ছদ » ইসি ও নির্বাচন » নিজ দলের প্রতীকে ভোট করবে জামায়াত
প্রচ্ছদ » ইসি ও নির্বাচন » নিজ দলের প্রতীকে ভোট করবে জামায়াত
৫ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৮ অক্টোবর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নিজ দলের প্রতীকে ভোট করবে জামায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক 

---

জোট হলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করবে জামায়াত। এমনটাই জানিয়েছে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ এ কথা বলেন তিনি ।

এসময় তিনি বলেন, এটি বাতিলের চেষ্টা করা হলে তা হবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ভঙ্গের নগ্ন উদাহরণ।

সম্প্রতি সংশোধিত আরপিও প্রসঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করে বলেন, “একটি দল উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য কমিশনের সঙ্গে ‘জেন্টলম্যান এগ্রিমেন্ট’-এর কথা বলেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনৈতিক।”

নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে ১৮ দফা দাবি লিখিতভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হাতে তুলে দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিশন আন্তরিকভাবে আমাদের দাবিগুলো শুনেছেন এবং ব্যাখ্যা দিয়েছেন।”

জামায়াত নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাতে জনগণ রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও জাতীয় সনদের সংস্কার বিষয়ে মতামত জানাতে পারেন। গোলাম পারওয়ার বলেন, “জাতীয় সনদের সংস্কার ও পরিবর্তনের বিষয়গুলো জনগণকে জানানো জরুরি। একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন হলে ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি বাড়বে। তাই আমরা চাই, নভেম্বর মাসেই গণভোট সম্পন্ন হোক।”

গোলাম পারওয়ার বলেন, “ আমরা সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু নির্বাচনটা অবশ্যই সুষ্ঠু হতে হবে।”

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, আগাম অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করা না গেলে নির্বাচনী সহিংসতা রোধ সম্ভব হবে না।”

প্রবাসী ভোটারদের বিষয়ে জামায়াতের দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, “এক কোটি প্রবাসী ভোটার যাতে সহজ প্রক্রিয়ায় ভোট দিতে পারেন— সে জন্য আমরা আগেই প্রস্তাব দিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন আমাদের সেই দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত।”

সিসি ক্যামেরা স্থাপন প্রসঙ্গে বলেন, “সব কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি জানিয়েছি। কমিশন জানিয়েছে, এ বিষয়ে তারা প্রযুক্তিগত ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।”

বিএনপির সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রসঙ্গে গোলাম পারওয়ার বলেন, “ইসলামী ব্যাংকসহ কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ না দেওয়ার বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারবিরোধী। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানার সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই।”

এছাড়াও তিনি বলেন, “আমরা চাই সব দল সমান সুযোগ ও অধিকার নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিক। দেশ ও জাতির স্বার্থে সবাই যেন দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কাজ করে।”

জামায়াতের এই অবস্থান স্পষ্ট করছে দলটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত, তবে চাইছে নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন এবং সংশোধিত আরপিও বহাল রেখে সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা।

জামায়াতের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. এইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, মিডিয়া সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, প্রচার সেক্রেটারি ইসলাম বুলবুল এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আমির মো. সেলিমউদ্দিন।






আর্কাইভ