শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২
Swadeshvumi
বৃহস্পতিবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » নির্বাচন » অনিয়মের অভিযোগে ছাত্রদলের জাকসু নির্বাচন বর্জন
প্রচ্ছদ » নির্বাচন » অনিয়মের অভিযোগে ছাত্রদলের জাকসু নির্বাচন বর্জন
৬ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অনিয়মের অভিযোগে ছাত্রদলের জাকসু নির্বাচন বর্জন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

---

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল প্যানেলের জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী।

তিনি বলেন, আমাদের ভিপি প্রার্থীকে তাজুদ্দিন হলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান থেকে ভোট গণনার যন্ত্রপাতি (ওএমআর) কেনা হয়েছে। অমোচনীয় কালি উঠে যাচ্ছে। ফলে এটি একটি পাতানো নির্বাচন। তাজুদ্দিন হলে ভোটার লিস্টে কারো ছবি নেই। যার ফলে দুই ঘণ্টা ওই হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল।

তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বলেন, প্রতিবাদ করায় জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা বাতিল করা হলেও তার দেওয়া ব্যালট দিয়ে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। জাহানারা ঈমাম হলে একজন স্বতন্ত্রপ্রার্থীর গায়ে হাত তোলা হয়। সেখানে মব সৃষ্টি করা হয়। সব হলে আমাদের পোলিং এজেন্টদের থাকতে দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, মেয়েদের হলগুলোতে আইডি কার্ড চেঞ্জ করে ছাত্রশিবিরের লোকজন বারবার ভোট দিয়েছেন। জাকসুতে কোনোভাবে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ হচ্ছে না। ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করা হচ্ছে। এটা পরিপূর্ণ কারচুপির নির্বাচন। প্রহসনের নির্বাচন। এসবের প্রতিবাদের আমরা ভোট বর্জনে বাধ্য হচ্ছি।

এসময় ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসানসহ প্যানেলর বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় ২১টি হলে একযোগে শুরু হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এবারের নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।

ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫ পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনে ছাত্রদল, বামপন্থি, ইসলামী ছাত্রশিবির ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে সর্বমোট আটটি প্যানেল অংশগ্রহণ করছে। ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ১০টি হল মিলিয়ে মোট ২১টি ভোটকেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে।

ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচনে ৬৭ জন পোলিং অফিসার (শিক্ষক) এবং ৬৭ জন সহায়ক পোলিং অফিসার (কর্মকর্তা) নিয়োগ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট গণনা করা হবে।

নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১ হাজার ৫০০ পুলিশ, সাত প্ল্যাটুন বিজিবি ও পাঁচ প্ল্যাটুন আনসার ক্যাম্পাসের পরিসীমায় মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাসে যে কোনো অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করবেন।






আর্কাইভ