শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ন ১৪৩১
Swadeshvumi
বুধবার ● ১১ অক্টোবর ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » সাম্প্রদায়িক সংঘাত অসভ্য আচরণ: সিইসি
প্রচ্ছদ » জাতীয় » সাম্প্রদায়িক সংঘাত অসভ্য আচরণ: সিইসি
২০৪ বার পঠিত
বুধবার ● ১১ অক্টোবর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাম্প্রদায়িক সংঘাত অসভ্য আচরণ: সিইসি

---

# নির্বাচনকেন্দ্রিক সাম্প্রদায়িক সংঘাত এড়াতে সরকারকে সতর্ক করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচনের সময় সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশংকা থাকে। কাজেই আসছে নির্বাচনে এ ধরনের সংঘাত এড়াতে আমরা কঠোরভাবে সরকারকে সতর্ক করে দেবো। এ ধরনের ঘটনা কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়, বাঞ্ছিত নয়। এটা কখনো সভ্য আচরণ হতে পারে না।’
বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেন। বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংতার আশঙ্কা করে সিইসির কাছে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
সিইসি জানান, ‘বৈঠকে সংগঠনটির নেতারা এদেশের বিগত দিনের অনেক নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা উল্লেখ করেন। এখনো উনারা আশংকা করেন আগামীতেও এই ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা হতে পারে। আমাদের কাছে তারা আবেদন রেখেছেন আমরা যেন বিষয়টা বিবেচনায় নেই এবং আমাদের দিক থেকে করণীয় যা আছে তা যেন করি।’

---
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা বিষয়টাকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। আমরা এটাও বলেছি যে আসলে এসব বিষয় দেখবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে যখন নির্বাচনের সঙ্গে যখন বিষয়টা সংশ্লিষ্ট হবে- সেই সময় পর্যন্ত আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। আমরা চিঠিপত্র দিয়ে সরকারকে, সরকারের ডিসি (জেলা প্রশাসক), এসপিদের (পুলিশ সুপার), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়- যারা এর সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাদের আমরা অবহিত করবো, দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোন ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা যাতে না হয়।’
সিইসি আরো বলেন, আমরা কঠোরভাবে সরকারের মাধ্যমে প্রশাসনকে সতর্ক করে দেবো- এ ধরনের ঘটনা কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়, বাঞ্ছিত নয়। এটা কখনো সভ্য আচরণ হতে পারে না। এটা অমানবিক। আমরা এই ধরণের অমানবিকতাকে কখনোই প্রশ্রয় দিই না। আমরা এই ব্যাপারে তাদেরকেও অনুরোধ করেছি যে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সাক্ষাত করে আপনারা আপনাদের শঙ্কার কথা সে টা ব্যক্ত করে রাখেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের ১৫ দিন পর পর্যন্ত আমাদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর থাকে। আমরা সেদিকে নজর রাখবো। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্বাচনোত্তর হোক, নির্বাচনোত্তর না হোক দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, সংঘাত যাতে না হয় এটা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব। যদি এটা না হয় এর দায়ি-দায়িত্ব তারাই বহন করবেন।
বৈঠকে সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তের নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।



বিষয়: #



আর্কাইভ