শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২
Swadeshvumi
মঙ্গলবার ● ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
৪ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

---

নিজস্ব প্রতিবেদক 

ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক মৃণাল সেনের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৩০ ডিসেম্বর। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৯৫ বছর বয়সে তিন মাার যান।

১৯২৩ সালের ১৪ মে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পূর্ব বঙ্গের ফরিদপুরে জন্ম নেওয়া মৃণাল সেন ভারতীয় সমান্তরাল সিনেমার অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত। সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতাকে চলচ্চিত্রের ভাষায় তুলে ধরার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।

১৯৫৫ সালে মৃণাল সেনের প্রথম চলচ্চিত্র রাত-ভোর মুক্তি পায়। এরপর ‘নীল আকাশের নিচে’ ও ‘বাইশে শ্রাবণ’– চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি দেশ-বিদেশে পরিচিতি পান। ১৯৬৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ভুবন সোম’ চলচ্চিত্রটি তাকে ভারতীয় নতুন ধারার চলচ্চিত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

সত্তরের দশকে নির্মিত ইন্টারভিউ, কলকাতা ৭১ ও পদাতিক—যা ‘কলকাতা ট্রিলজি’ নামে পরিচিত—তৎকালীন কলকাতার সামাজিক অস্থিরতা ও মধ্যবিত্ত সংকটকে তুলে ধরে। ‘এক দিন প্রতিদিন’ (১৯৭৯) ও ‘খারিজ’ (১৯৮২) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি মধ্যবিত্ত সমাজের নৈতিক দ্বন্দ্ব চিত্রিত করেন। ‘খারিজ’ ১৯৮৩ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার লাভ করে।

১৯৮০ সালের ‘আকালের সন্ধানে’ চলচ্চিত্রটি ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের গল্প তুলে ধরে। চলচ্চিত্রটি ১৯৮১ সালের বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘রুপোর ভালুক’ (বিশেষ জুরি পুরস্কার) জেতে। তার পরবর্তী উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘মহাপৃথিবী’ (১৯৯২), ‘অন্তরীণ’ (১৯৯৪) ও ‘আমার ভুবন’ (২০০২)।

বাংলার পাশাপাশি তিনি হিন্দি, ওড়িয়া ও তেলুগু ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ওড়িয়া ভাষার ‘মাটির মনীষ’ (১৯৬৬), হিন্দি ভাষার ‘ভুবন সোম’ (১৯৬৯), তেলুগু ভাষার ‘ওকা উরি কথা’ (১৯৭৭) এবং বহুভাষিক ‘জেনেসিস’ (১৯৮৫)।

মৃণাল সেন বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হন। তিনি ১৯৮১ সালে পদ্মভূষণ, ২০০৫ সালে ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র সম্মান ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার লাভ করেন। ফ্রান্স সরকার তাঁকে ‘অর্ডার অফ আর্টস অ্যান্ড লেটারস’-এর কম্যান্ডার উপাধিতে এবং ২০০০ সালে রাশিয়া সরকার ‘অর্ডার অফ ফ্রেন্ডশিপ’ সম্মানে ভূষিত করে।






আর্কাইভ