মঙ্গলবার ● ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » ইসি ও নির্বাচন » বর্তমান ও অতীত সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন সমীকরণ
বর্তমান ও অতীত সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন সমীকরণ
![]()
শায়লা শবনম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমার সময় সম্প্রতি শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মোট ২ হাজার ৫৮২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে প্রার্থী হওয়ার জন্য মোট ৩ হাজার ৪০৭টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। রবিবার মাত্র ৩১ জন মনোনয়নপত্র দিলেও বাকিসব আগ্রহী প্রার্থীরা সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এবারের সংসদ নির্বাচনে ইসির নিবন্ধিত মোট ৫৮টি রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। দলীয় প্রার্থী দেওয়ার পাশাপাশি এসব দলের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচন করতে পারবেন। তবে নিবন্ধন স্থগিত থাকায় আওয়ামী লীগ এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। একই কারণে নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত থাকা অন্যান্য দলও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে না।
ইসি জানিয়েছে, কেবল নিবন্ধন বহাল থাকা দলগুলো নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী প্রার্থী মনোনয়ন, প্রতীক বরাদ্দ ও প্রচারণার আইনগত সুযোগ ভোগ করতে পারবে।
বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে মনোনয়নপত্র জমা ও অংশগ্রহণের চিত্রে বড় ধরনের পার্থক্য ছিল। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলগুলোর অংশগ্রহণ ও বর্জনের ওপর ভিত্তি করে এই সংখ্যা ওঠানামা করেছে।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনের মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। ওই নির্বাচনে দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। বিএনপিসহ ১৪টি দল নির্বাচনের বাইরে ছিল।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে শেষ দিনে মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে, যার মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন ছিল ৪৯৮টি এবং দলীয় মনোনয়ন ছিল ২ হাজার ৫৬৭টি। সে নির্বাচনে ৩৯টি নিবন্ধিত দল অংশ নেয়। বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ১ হাজার ৮৬১ জন— এর মধ্যে ১ হাজার ৭৩৩ জন দলীয় এবং ১২৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় মাত্র ১২টি দল। সে সময় ১ হাজার ১০৭টি মনোনয়নপত্র জমা পড়লেও যাচাই-বাছাই শেষে টিকে ছিলেন ৮৭৭ জন প্রার্থী। ১৫৩টি আসনে একক প্রার্থী থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন, যা নির্বাচনী ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
নবম সংসদ নির্বাচনে, দল নিবন্ধন পদ্ধতি চালুর পর, ২৮টি দল অংশ নেয় এবং প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৫৬৭ জন। এর আগে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ৫৫টি দল অংশ নিয়ে মোট ১ হাজার ৯৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ৮১টি দল অংশ নিয়ে ২ হাজার ৫৭২ জন প্রার্থী দাঁড়িয়েছিলেন।
আরও পেছনে গেলে দেখা যায়, ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৪৫০ জন এবং দল ছিল ৪২টি। পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি— ২ হাজার ৭৮৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, অংশ নেয় ৭৫টি দল। চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে মাত্র ৮টি দল অংশ নিয়ে ৯৭৭ জন প্রার্থী ছিলেন। তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮টি দল অংশ নিয়ে ১ হাজার ৫২৭ জন প্রার্থী দাঁড়ান। দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯টি দল অংশ নেয় এবং প্রার্থী ছিলেন ২ হাজার ১২৫ জন। দেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনে ১৪টি দল অংশ নেয়, প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৯১ জন।
এসব পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ যত বিস্তৃত হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যাও তত বেড়েছে।





স্থগিত হওয়া জকসু নির্বাচন ৬ জানুয়ারি
আমিরের হয়ে ঢাকা-১৫ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জামায়াতের প্রতিনিধিদল
ঢাকা-১৭ আসনে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র জমা
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ
নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই মান্নার
জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর করতে বিজিবিকে প্রস্তুতির নির্দেশ
তারেক রহমান আজ ইসিতে গিয়ে ভোটার হবেন
একসঙ্গে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট: প্রশাসনের কণ্ঠে বাস্তব চ্যালেঞ্জ
ভোটের মাঠে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চায় পুলিশ 
