বৃহস্পতিবার ● ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » ভর্তিতে স্কুল পায়নি সাড়ে ৭ লাখ শিক্ষার্থী
ভর্তিতে স্কুল পায়নি সাড়ে ৭ লাখ শিক্ষার্থী
নিজস্ব প্রতিবেদক
![]()
দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে মাত্র ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন। আর আবেদন করেও ভর্তির জন্য পছন্দের স্কুল পায়নি ৭ লাখ ৫০ হাজার ৫৫৫ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ডিজিটাল লটারির কার্যক্রম শুরু হয়। সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়। লটারির টেকনিক্যাল বা কারিগরি কাজ চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এরপর দুপুর ২টার কিছুক্ষণ পর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হয়।
এসময় প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, প্রথম প্রকাশিত তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন। এরমধ্যে সরকারি স্কুলে প্রথম তালিকায় স্থান পেয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন। আর বেসরকারি স্কুলে প্রথম তালিকায় নির্বাচিত হয়েছে বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন ছিল ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি। এর বিপরীতে আবেদন করে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন। তবে লটারিতে স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন। ফলে বেসরকারি স্কুলে আসন শূন্য থেকে যাবে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৩টি আসন।
অন্যদিকে, বিদ্যালয়গুলোতে থাকা ভর্তিযোগ্য ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি আসনের মধ্যে শূন্যই থেকে যাচ্ছে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৮২টি।
ভর্তি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক স্কুলে কোনো আবেদনই জমা পড়েনি। স্বল্পসংখ্যক স্কুলে ভর্তিতে আগ্রহ বেশি শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের। ফলে আসন শূন্য থাকলেও সেসব স্কুলের নাম পছন্দের তালিকায় নেই। ফলে সেসব স্কুলে আসন শূন্যই থেকে যাচ্ছে।
এদিকে, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট শূন্য আসন ছিল ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি। সেখানে ফাঁকাই থেকে যাচ্ছে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৮২টি আসন।
সরকারি স্কুলে শূন্য আসন ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৩০টি। বিপরীতে আবেদন করে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৪ জন। নির্বাচিত হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন। ফলে সরকারি স্কুলে আসন শূন্য থেকে যাবে ১৩ হাজার ৫০৯টি।
অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন ছিল ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি। এর বিপরীতে আবেদন করে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন। তবে লটারিতে স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন। ফলে বেসরকারি স্কুলে আসন শূন্য থেকে যাবে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৩টি আসন।
আসনশূন্য থাকলেও ভর্তির সুযোগ মেলেনি যে কারণে
আসন শূন্য থাকলেও পৌনে ৯ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়নি। তারা কোনো স্কুল পায়নি। আসন ফাঁকা থাকলেও শিক্ষার্থীরা কেন স্কুল পায়নি— এমন প্রশ্ন অনেকের।
মাউশির কর্মকর্তারা জানান, আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের একটি আবেদনে পাঁচটি স্কুল পছন্দ দেওয়ার সুযোগ ছিল। অধিকাংশ শিক্ষার্থী একটি বা দুটি করে পছন্দ দিয়েছে। কারণ তারা ওই দুটি স্কুলে ভর্তি হতে চায়। যদি সেখানে না হয়, তাহলে যে স্কুলে বর্তমানে আছে, সেখানেই থেকে যাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটা ঘটেছে বলে মনে করেন ভর্তি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।





মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি
কাল থেকে মাঠে নামছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
তফসিল ঘোষণার পর রাস্তায় নামলেই কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু
মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী ৬ দিন, স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে
মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী ৬ দিন, স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ২দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ 
