শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২
Swadeshvumi
বৃহস্পতিবার ● ৩০ অক্টোবর ২০২৫
প্রচ্ছদ » জাতীয় » সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
প্রচ্ছদ » জাতীয় » সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
৩ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৩০ অক্টোবর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

---

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে সবকয়টি মূল্যসূচক। তবে দুই বাজারেই কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকয়টি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৪১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৮১টির। এছাড়া ৭২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৩২টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৪৭টির দাম কমেছে এবং ৪৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৫৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে ১৫টির দাম কমেছে এবং ৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৫২টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৭টির দাম কমেছে এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে।

সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫০৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ২৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ১০ লাখ টাকার। ১৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, সোনালী পেপার, লাভেলো আইসক্রিম এবং রবি।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৪টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।






আর্কাইভ