শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২
Swadeshvumi
সোমবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » জাতীয় » গণমাধ্যম সংস্কারের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে পথরেখা তৈরি করছে সরকার
প্রচ্ছদ » জাতীয় » গণমাধ্যম সংস্কারের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে পথরেখা তৈরি করছে সরকার
১০০ বার পঠিত
সোমবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গণমাধ্যম সংস্কারের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে পথরেখা তৈরি করছে সরকার

---নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় স্বার্থে জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য উল্লেখ করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে পথরেখা তৈরি করছে সরকার। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন পর্যালোচনা’ শীর্ষক ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান জানান, ইতোমধ্যে এই কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সরকার শুরু থেকেই গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থ ও সুরক্ষার বিষয়ে আন্তরিক। যে কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দিয়েও গণমাধ্যমে সংস্কারে কমিশন গঠন করা হয়েছে। এমনটাই বলেন তিনি।

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার সহায়তা করবে। তবে এগুলো টেকসই করার দায়িত্ব গণমাধ্যমকেই নিতে হবে। যতটুক সংস্কার জনসমর্থন, রাজনৈতিক সমর্থন ও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ঐক্যমতের ভিত্তিতে হবে, ততটুকুই টেকসই হবে। সেজন্য কাগজে-কলমে যতটা সংস্কার করা সম্ভব অন্তর্র্বতী সরকার সেটা করে যেতে চায়। তবে গণমাধ্যমের সত্যিকারের পরিবর্তনের জন্যে গণমাধ্যম কর্মীদের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন আনতে হবে।

এসময় দেশজুড়ে চলমান মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে এ সরকারের অবস্থান তুলে ধরে তিনি জানান, এসব ঘটনায় সরকার শুধু বিবৃতি দিচ্ছে না, ওইসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তবে অধিক পরিমাণ প্রত্যাশা এবং দাবির চাপ এতো কম সময়ে পূরণ করা সরকারের পক্ষে সম্ভব না।

সভায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে সরকারের স্বীকৃতি দাবি করেন বিজেসির ট্রাষ্টি ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ফাহিম আহমেদ। তিনি বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার গণমাধ্যমের উন্নয়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। গত এক বছরে গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থে তাদের তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। এখনো ভুয়া সার্কুলেশন, টিআরপি হচ্ছে তাদের আর্থিক সুবিধা দেয়া হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে এখনো সরকারের স্বীকৃতি মিলেনি। চতুর্থ স্তম্ভকে দুর্বল রেখে কী কার্যকর রাষ্ট্র ও উন্নয়ন করা সম্ভব?

ইন্টারনিউজ বাংলাদেশের দেশীয় প্রতিনিধি শামীম আরা শিউলি বলেন, গণমাধ্যমের সংস্কার করতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি। রাজনৈতিকদলগুলোকে বাধ্য করতে হবে যেন নির্বাচনি ইশতেহারে গণমাধ্যম সংস্কারের বিষয়টি তারা অন্তর্ভুক্ত করে।

বিজেসির ট্রাস্টি নুরে সাফা জুলহাস বলেন, নীতিমালার নামে সব সময় নিয়ন্ত্রণ মালা দেয়া হয়। কমিশন যে প্রস্তাবনা দিয়েছে তার স্পিরিট ধরে রাখতে হবে আমাদের। বিগত সরকারের সময়েও এসব আলোচনা হয়েছে তবে কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি তাই আমরা বলতে চাই ডিজিটাল বাস্তবতায় মিডিয়াকে স্বাধীন সম্পাদকীয়তায় নিশ্চিত করতে না পারলে সামনে সমূহ বিপদ। সাংবাদিকদের হয় রাস্তা ছাড়তে হবে নয় রাস্তায় নামতে হবে।

নিউজ নেটওয়ার্কের সিইও শাহীদুজ্জামান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কোন সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়া হতাশার। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবল গণমাধ্যম তৈরীর সুযোগ সরকারকেই করে দিতে হবে।

ডিজিটালি রাইটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, সব সংস্কার কখনই সরকার করে দেয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংস্কার গণমাধ্যমের ভেতর থেকে শুরু করতে হয়। তবে বাংলাদেশের বাস্তবতায় এটির অভাব রয়েছে ।

আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ বলেন,  শ্রম মন্ত্রণালয় যে বিধিমালা চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে সেখানে এখনও সাংবাদিকের সংজ্ঞায় সম্প্রচার গণমাধ্যমের কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত নন। তিনি এক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিজেসির প্রতি আহবান জানান।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার (মিডিয়া) কেয়া রয় বলেন, নারী সাংবাদিক দের জন্য কর্মস্থলে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। গণমাধ্যমে নারীর  প্রতি সহিংসতা বিষয়ক খবর প্রকাশে জেন্ডার সংবেদনশীল নীতিমালা বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে।

এমআরডিআই এর প্রতিনিধি আসিফ ইকবাল বলেন, সংস্কারের দুটি ভাগ রয়েছে একটি সরকার করে দেবে। সাংবাদিকদের নিজেদের উন্নয়ন নিজেদেরই করতে হবে। সরকারকে প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে সবাই মিলে চাপ দিতে হবে। অন্তর্র্বতী সরকার যতটুকু সম্ভব কাজ করে যাবেন পরবর্তী সরকার এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করবেন। এ সকল আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোকেও সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজেসির নির্বাহী সদস্য পারভেজ রেজা। সঞ্চালনা করেন বিজেসির সদস্য সচিব ইলিয়াস হোসেন ও সদস্য মাহফুজ মিশু। অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন মিডিয়া ও গণমাধ্যম সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য ও মতামত তুলে ধরেন। এসময় সমষ্টির নির্বাহী পরিচালক মীর মাশরুজ্জমান, বিজেসির ট্রাষ্টি রাশেদ আহমেদ ও মানস ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।






জাতীয় এর আরও খবর

ইসকন নিষিদ্ধসহ ৬ দাবি ইন্তিফাদা বাংলাদেশের ইসকন নিষিদ্ধসহ ৬ দাবি ইন্তিফাদা বাংলাদেশের
সবজির দাম কিছুটা কমলেও স্বস্তি নেই মাছ বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমলেও স্বস্তি নেই মাছ বাজারে
সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের যমুনায় পদযাত্রা, শাহবাগে পুলিশি বাধা সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের যমুনায় পদযাত্রা, শাহবাগে পুলিশি বাধা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
যমুনায় জামায়াতের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল যমুনায় জামায়াতের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে নিশ্চয়তা পেলেই স্বাক্ষর করবে এনসিপি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে নিশ্চয়তা পেলেই স্বাক্ষর করবে এনসিপি
জুলাই সনদ সারা পৃথিবীর জন্য বড় রকমের উদাহরণ হয়ে থাকবে: ড. ইউনূস জুলাই সনদ সারা পৃথিবীর জন্য বড় রকমের উদাহরণ হয়ে থাকবে: ড. ইউনূস
জাতীয় শ্রমিক শক্তির আত্মপ্রকাশ জাতীয় শ্রমিক শক্তির আত্মপ্রকাশ
জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় যা আছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় যা আছে
জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা

আর্কাইভ