রবিবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » ইসি ও নির্বাচন » আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ যাচাইয়ে ইসির ১০ কর্মকর্তা নিয়োগ
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ যাচাইয়ে ইসির ১০ কর্মকর্তা নিয়োগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
![]()
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করতে আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং নির্বাচনকালীন সব ধরনের অভিযোগ যাচাইয়ের লক্ষ্যে প্রশাসনিক ১০ অঞ্চলের জন্য ১০ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুরু করে নির্বাচনি ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত সময়ের জন্য এসব কর্মকর্তাকে অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট যেন স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে লক্ষ্যেই নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্ত ১০ কর্মকর্তার দায়িত্বের পরিধি বেশ বিস্তৃত। তাদের প্রধান দায়িত্বগুলোর মধ্যে রয়েছে— ভোটকেন্দ্রসংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগ যাচাই ও নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় নথি নির্বাচন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা; নির্বাচনকালীন আচরণবিধি লঙ্ঘন ও অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে তদন্তসংক্রান্ত নথি প্রস্তুত ও উপস্থাপন করা।
এছাড়া নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত বিভিন্ন কমিটির কাছ থেকে নিয়মিত প্রতিবেদন সংগ্রহ করে মাননীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় থেকে বার্তাশিট সংগ্রহ পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখা তাদের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।
প্রতীক বরাদ্দের পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা সংগ্রহ এবং ওই তালিকায় প্রার্থীদের নাম বাংলা বর্ণমালার ক্রমানুসারে রয়েছে কি না তা যাচাই করাও এসব কর্মকর্তার অন্যতম দায়িত্ব।
এ কর্মকর্তারা ব্যালট পেপার মুদ্রণের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা মুদ্রণালয়ে পাঠাবেন। একই সঙ্গে ব্যালট পেপার মুদ্রণের প্রুফ রিডিং করা এবং চূড়ান্ত মুদ্রণের অনুমোদন দেওয়ার দায়িত্বও তাদের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
ভোটগ্রহণের দিন সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদন সংগ্রহ করে তা নির্বাচন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা, বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন এবং ওসিভিও ও আইসিভি সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করবেন তারা।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, আইন অনুবিভাগের যুগ্মসচিব এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২ শাখা অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা, পরামর্শ ও সমন্বয় করবেন।
এ ছাড়া অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সরবরাহ করা মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, আপিল গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তথ্য একীভূত করে নির্বাচন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ভোটগ্রহণের দিন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া ফলাফল (বার্তাশিট) ও পরিস্থিতি প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একীভূত করে নির্বাচন কমিশনের কাছে উপস্থাপনসহ সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তারা। জরুরি প্রয়োজনে অঞ্চলভিত্তিক কর্মকর্তাদের উপস্থাপিত নথির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেবেন।
সম্প্রতি ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচার চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।





প্রার্থীদের অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি: ইসি সচিব
নির্বাচন দেখতে এবার ইইউ থেকে আসছেন প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক
‘ডামি’ নির্বাচনের প্রার্থীদের ভোটে আসতে দেবেন না: ইসিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
গণমাধ্যমে সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ দিতে ইসির নির্দেশ
বিজয় দিবসে সাভারের স্মৃতিসৌধে সিইসি ও কমিশনারদের শ্রদ্ধা
গণভোটের ব্যালটের ‘হ্যাঁ’/‘না’ ঘরের পাশে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিতে হবে
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থন তালিকা দৈবচয়ন পদ্ধতিতে যাচাই করবে ইসি
‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়নি…..হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ - সিইসি
আইন-শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি রক্ষা ইসির প্রধান চ্যালেঞ্জ 
