শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ন ১৪৩২
Swadeshvumi
বুধবার ● ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » শীতের শুষ্ক-খসখসে ত্বকের জন্য তেল, ক্রিম নাকি ময়েশ্চারাইজার!
প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » শীতের শুষ্ক-খসখসে ত্বকের জন্য তেল, ক্রিম নাকি ময়েশ্চারাইজার!
১ বার পঠিত
বুধবার ● ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শীতের শুষ্ক-খসখসে ত্বকের জন্য তেল, ক্রিম নাকি ময়েশ্চারাইজার!

আনন্দবাজার পত্রিকা

---

শীতে শুষ্ক ত্বকে তেল মাখা ভালো, না ক্রিম, নাকি ময়েশ্চরাইজার? সকলের ক্ষেত্রে তা এক হবে না। ত্বকের ধরন বুঝে না মাখলে, কোনও উপকারই হবে না।

শীতের সময় এলেই ত্বকের হাজারটা সমস্যা দেখা দেয়। একে তো শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক খসখসে হয়ে যায়, তার উপরে জ্বালা, চুলকানি, র‌্যাশের সমস্যা লেগেই থাকে। কী মাখলে ত্বক নরম ও মসৃণ হবে, সে নিয়ে চর্চা চলেই। কেউ বলেন শীতের ত্বকের জন্য তেল ভাল, কারও মত ময়েশ্চারাইজার, আবার কেউ মনে করেন ভাল ক্রিম মাখলেই ত্বক ভাল থাকবে। খুব বেশি ঝক্কির দরকার নেই। তেল, ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার যা-ই মাখুন না কেন, ত্বকের ধরন বুঝে মাখাই উচিত। কার ত্বকে কোনটি ভাল, তা জেনেবুঝে ব্যবহার করলে লাভ হবে বেশি।

তেলে ‘ত্বক’ তাজা

ত্বকের লাবণ্য ও বয়স ধরে রাখতে তেলের জুড়ি মেলা ভার। বলিরেখা, চোখের তলার কালি দূর করতেও তেল অপরিহার্য। কিন্তু কোন তেল ভালো?

১) খুব শুষ্ক ত্বক যাদের, তারা বাছুন নারকেল তেল। ত্বক নরম রাখতে নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার।

২) ত্বকে যদি ব্রণ, ফুস্কুরির সমস্যা থাকে, তা হলে সবচেয়ে ভাল কাজ করতে পারে ক্যামেলিয়া অয়েল।

৩) ত্বকে চুলকানি, র‌্যাশ, জ্বালাপোড়া ভাব থাকলে টি-ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

৪) শুষ্ক ত্বক ও সেই সঙ্গে কালচে দাগছোপ পড়লে, ল্যাভেন্ডার অয়েল কাজে আসতে পারে।

তবে শরীরে যদি জলের ঘাটতি বেশি হয় এবং সোরিয়াসিসের মতো চর্মরোগ থাকে, তা হলে তেল ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ময়েশ্চারাইজার

ত্বকের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করে ময়েশ্চারাইজার। যাদের ত্বক খুব শুষ্ক এবং শীতকালে খসখসে হয়ে ওঠে, তাঁদের জন্য ময়েশ্চারাইজার ভালো। ভিটামিন সি, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ক্রিম মিশ্রিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। কোকো বাটার, শিয়া বাটার এবং গ্লিসারিন যুক্ত ময়েশ্চারাইজারও খুব ভালো। তবে ময়েশ্চরাইজারও ত্বকের ধরন বুঝেই মাখতে হবে।

ত্বকে উন্মুক্ত রন্ধ্রের সমস্যা থাকলে, খুব বেশি ব্রণ বা ফুস্কুড়ির ধাত থাকলে এমন ময়েশ্চারাইজার বাছতে হবে, যাতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড আছে।

ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে, জেল্লা ফেরাতে নিয়াসিনামাইড জরুরি। যাদের ত্বক জেল্লা হারিয়ছে, খুব বেশি তৈলাক্ত হয়ে উঠেছে, তারা এমন ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করতে পারেন।

হায়ালুরনিক অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং তারুণ্য ধরে রাখে। শুষ্ক, নিষ্প্রাণ ত্বকে জেল্লা ফেরাতে পারে খুব তাড়াতাড়ি। বলিরেখার সমস্যা বেশি হলে এমন ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

ক্রিম কাদের জন্য ভালো

ক্রিমের ঘনত্ব বেশি, অনেক বেশি পরিমাণে তেল ও ময়েশ্চারাইজার থাকে এতে। ক্রিম সারা রাত মেখে রাখার জন্য উপযুক্ত। অল্প ঠান্ডাতেই ত্বক শুকিয়ে নিষ্প্রাণ হয়ে যায় যাদের, ঠোঁট-গাল বা কপালের ত্বক ফাটতে থাকে, তাঁরা সারা রাত মুখে-হাতে ক্রিম মাখলে উপকার পাবেন।






আর্কাইভ