শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২
Swadeshvumi
সোমবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » অপরাধ » খালেদা জিয়ার নাম ভাঙিয়ে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মামলা
প্রচ্ছদ » অপরাধ » খালেদা জিয়ার নাম ভাঙিয়ে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মামলা
৫ বার পঠিত
সোমবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

খালেদা জিয়ার নাম ভাঙিয়ে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

---

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোতাল্লেছ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।

সিআইডির অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোতাল্লেছ হোসেন নিজেকে খালেদা জিয়ার লিয়াজোঁ অফিসার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন। তার নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২০ কোটি টাকার লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এছাড়া, তার প্রতিষ্ঠিত এম এল ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানেরও নামও এসেছে আলোচনায়। তবে তদন্তে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি অস্তিত্বহীন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির কোনও কার্যক্রম বা ঠিকাদারি, আমদানি-রপ্তানির প্রমাণ মেলেনি।

অভিযোগ রয়েছে, কখনও নিজেকে গার্মেন্টস মালিক, কখনও চা-বাগানের উদ্যোক্তা বা ঠিকাদার হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন মোতাল্লেছ হোসেন। পরে বিএনপির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বলে টাকা সংগ্রহ করেন।

এভাবে তার নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৫ কোটি টাকা জমা পড়ে, যা তিনি আত্মসাৎ করেন। বর্তমানে তার বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে থাকা ৫ কোটি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮২ টাকা আদালতের আদেশে ফ্রিজ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় মোতাল্লেছ হোসেন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

সিআইডি জানিয়েছে, প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।






আর্কাইভ