শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২
Swadeshvumi
শুক্রবার ● ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রচ্ছদ » আন্তর্জাতিক » শিরোপা জয়ের আনন্দে বাংলার নারী ফুটবলাররা
প্রচ্ছদ » আন্তর্জাতিক » শিরোপা জয়ের আনন্দে বাংলার নারী ফুটবলাররা
৫৫৬ বার পঠিত
শুক্রবার ● ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শিরোপা জয়ের আনন্দে বাংলার নারী ফুটবলাররা

---

স্পোর্টস প্রতিবেদক 

প্রথমবারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবলের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। নেপালকে ফাইনালে ৩-০ গোলে হারিয়ে আনন্দ-উৎসবে মেতেছে শামসুন্নাহার-শাহেদা আক্তার রিপারা। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠে পতাকা নিয়ে গ্যালারিতে সমর্থকদের কাছাকাছি গিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার দৃশ্যটা ছিল দেখার মতোই। আর তাদের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন তো আরও একটি ট্রফি জিতে সংগ্রহশালা আরও সমৃদ্ধ করেছেন।

বাংলাদেশের নারী ফুটবলের সবকটি ট্রফির পিছনে ছোটনের অবদান। ডাগআউটে একমাত্র তিনিই ছিলেন লাল-সবুজ দলের কোচ। আটটি বয়সভিত্তিক সাফের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চারটিতে শিরোপা জিতেছে। এবার ঘরের মাঠে ট্রফি জিতে ছোটন বেশ খুশি। ম্যাচশেষে একুশ মাস বয়সী মেয়ে আতিফা ফাহমিদাকে কোলে নিয়ে বলেছেন, ‘খুবই ভালো লাগার দিন। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এমন রেজাল্ট এলে কাজের অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। এই মেয়েদের সুযোগ দিলে ওরা অন্যদের ছাড়িয়ে যাবে। ওদের মধ্যে প্রতিভা আছে।’

শামসুন্নাহার-রুপনাদের প্রশংসা করতে ভুল করেননি ছোটন। বলেছেন, ‘শামসুন্নাহার কী প্লেয়ার! আমার দৃষ্টিতে টিমের জন্য আলাদা অনুপ্রেরণা। সবসময় বলে এসেছি রুপনা দক্ষিণ এশিয়ার সেরা। ওর কাছে মেসেজ ছিল এবার দ্বিতীয়বার সেরা হওয়ার। সেটা সে হয়েছে। নেপালের বিপক্ষে যেভাবে খেলার কথা সেভাবেই দল খেলেছে। আমি খুশি।’

ফাইনালে গোল করে দলকে জেতানোর পিছনে অবদান ফরোয়ার্ড শাহেদা আক্তার রিপারও। মাঠজুড়ে খেলেছেন। গোলও পেয়েছেন। ম্যাচশেষে কক্সবাজারের এই ফুটবলার বলেছেন, ‘খুব ভালো লাগছে। এর আগে এই মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, এবার অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়ন হলাম। অবশ্যই ভালো লাগছে। গোলটা করার পর মনে হচ্ছিল কাপটা এবার আমরাই নেবো। ভুটান ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেছিলাম বলে আক্ষেপ ছিল, কষ্ট পেয়েছিলাম। শট নেওয়ার সময় ভাবতে পারিনি গোলটা হবে, মেরেছি, গোল হয়ে গেছে। এখন লক্ষ্য সিনিয়র টিমে খেলা।’

টুর্নামেন্টে ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছে ভুটান। এছাড়া সেরা গোলকিপার হয়েছেন স্বাগতিকদের রুপনা চাকমা। ঢাকার টুর্নামেন্টে মাত্র একটি গোল হজম হয়েছে। ট্রফি হাতে নিয়ে রুপনা বলেছেন, ‘নেপাল থেকে সাফ জেতার পর আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। গোলকিপিং কোচ যেভাবে বলেছে সেভাবেই অনুশীলন করে গেছি। দল সাফল্য পাওয়ায় খুশি।’






আর্কাইভ