শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২
Swadeshvumi
সোমবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » আইন-আদালত » হাদি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার ফয়সালের স্ত্রীসহ তিনজন রিমান্ডে
প্রচ্ছদ » আইন-আদালত » হাদি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার ফয়সালের স্ত্রীসহ তিনজন রিমান্ডে
৪ বার পঠিত
সোমবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

হাদি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার ফয়সালের স্ত্রীসহ তিনজন রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক

---

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদের (৩৭) স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক (সামিয়ার ভাই) ওয়াহিদ আহমেদ, ফয়সালের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ আসামিদের সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।

হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হত্যাচেষ্টা, বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহার করে স্বেচ্ছায় গুরুতর আঘাত, দুষ্কর্মে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ (৩৭)সহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা তৎকালীন সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা হত্যা, গুম ও খুনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থান প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। তবে ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণমানুষের অংশগ্রহণে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে।

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত শরীফ ওসমান হাদি (৩৩) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে তিনি রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ গঠন করে এর মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন বক্তব্য দেন। এ কারণে তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের বিরোধিতার মুখে পড়েন এবং একাধিকবার হত্যার হুমকি পান।

এজাহারে আরও বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই শরীফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু করেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে প্রচারণা শেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে পল্টন থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডে তাকে বহনকারী অটোরিকশায় মোটরসাইকেলে থাকা দুষ্কৃতিকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।

গুলিবিদ্ধ হয়ে শরীফ ওসমান হাদি মাথা ও ডান কানের নিচে গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়েছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করা, প্রার্থীদের মনোবল দুর্বল করা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়। ঘটনার পর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।

সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, হেলমেট পরিহিত দুই সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনার সময় একই অটোরিকশায় থাকা তার ভাই ওমর বিন হাদি (৩১) ও অন্যান্য সহকর্মীরা ফুটেজ দেখে আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদকে শনাক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, হাদিকে হত্যারচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ফৌজদারি কার্যবিধি-র ৫৪ ধারায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিনদিন রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।






আর্কাইভ