শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩২
Swadeshvumi
শুক্রবার ● ২১ নভেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » বাজারে ভরপুর সবজিতেও কমছে না দাম, চওড়া মাছের বাজারও
প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » বাজারে ভরপুর সবজিতেও কমছে না দাম, চওড়া মাছের বাজারও
৯ বার পঠিত
শুক্রবার ● ২১ নভেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাজারে ভরপুর সবজিতেও কমছে না দাম, চওড়া মাছের বাজারও

মৌ খন্দকার

---

শীতকালীন সবজিতে ভরপুর থাকার পরও হাতের নাগালে আসেনি দাম। অধিকাংশ সবজির দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। দেশি টমেটো বাজারে আসলেও দাম ১৬০ টাকা আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। এদিকে, মাছের বাজারও বেশ চওড়া। তবে, কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মুরগী ও ডিমের বাজারে।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডি রায়ের বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছে গত সপ্তাহের তুলনায় আজ সবজির দাম তেমনটা বাড়েনি। কিছুটা কমেছে। শীতকালীন সব সবজি বাজারের আসায় দামটা তুলনামূলক ভাবে কমছে। টমেটোর দাম প্রথমদিকে একটু বেশি থাকে। কিন্তু সময় আরও গেলে সেটাও সস্তা হয়ে যাবে। দেশি বড় টমেটো ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও ১২০ -১৪০ টাকা ছোট টমেটো।

বাজারে মানভেদে ফুলকপি প্রতিপিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি কেজি বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও পটোল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আর প্রতি কেজি পেঁপে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শালগম ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। একই সঙ্গে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ২০-৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০, কলমি শাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।

এ ছাড়া প্রতিপিছ লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লেবু ৬০ টাকা ডজন, আলু ২০ থোকে ২৫ টাকা কেজি, ধনে পাতা ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, রাজধানীর বাজারগুলোতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন খাল-নদীর পানি শুকিয়ে আসতে শুরু করায় এবং পর্যাপ্ত সামুদ্রিক মাছ বাজারে না আসায় বাড়তি দাম গুণতে হচ্ছে আড়তদারেরও।

সরেজমিনে দেখা যায়, আজকের বাজারে চাষের রুই-কাতলা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়। পাবদা ছোট সাইজের ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিং ৪০০-৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০-৭০০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০-৪৫০ টাকা, পুঁটি ২০০-২৫০ টাকা। তেলাপিয়া ২৫০-৩০০ টাকা, নাইলোটিকা ২২০-২৮০ টাকা এবং পাঙাশ ও সিলভার কার্প ২০০-২৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

সামুদ্রিক মাছের মধ্যে লইট্যা ২৫০-৩০০ টাকা হলেও কোরাল ৭০০-৯০০ টাকা এবং আইড় ৬০০-৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাগদা ও গলদা চিংড়ি প্রকারভেদে ৭৫০ থেকে ১,২০০ টাকার মধ্যে মিলছে।

ইলিশের দামও অপরিবর্তিত দুই কেজি ওজনের মাছ ২,৬০০-৩,০০০ টাকা, এক কেজির ইলিশ ২,২০০-২,৫০০ টাকা এবং ছোট জাটকা ৫০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে মুরগি ও ডিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কম থাকায় সাধারণ ক্রেতারা আপাতত এ দুই পণ্যের ওপরই নির্ভর করছেন।

মুরগি ও ডিমের দাম সপ্তাহজুড়ে কিছুটা কম থাকায় এ খাতে ভরসা মিলছে ক্রেতাদের। যেকারণে ব্রয়লার মুরগির দোকানে ক্রেতাদের ভিড়ও তুলনামূলক বেশি দেখা গেছে। আজকের বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৬০-১৬৫ টাকা, সোনালি ২৯০-৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিম ডজনপ্রতি ১২০ টাকা, সাদা ১২০-১২৫ টাকা এবং হাঁসের ডিম ১৯০-২০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে গরু-খাসির মাংসের বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।






আর্কাইভ