শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২
Swadeshvumi
সোমবার ● ১০ নভেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » আইন-আদালত » অবশেষে শুরু হলো আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ
প্রচ্ছদ » আইন-আদালত » অবশেষে শুরু হলো আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ
১০ বার পঠিত
সোমবার ● ১০ নভেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অবশেষে শুরু হলো আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

---

তিনবার পেছানোর পর অবশেষে শুরু হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে চলছে দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ।

সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। অন্য দুই সদস্য হলেন— অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

আজ ১২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিচ্ছেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব রেজা খান। তিনি প্রত্যক্ষদর্শী।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। সঙ্গে রয়েছেন প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার, মঈনুল করিম, সহিদুল ইসলামসহ অন্যরা।

গত ৪ নভেম্বর এ সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। ২১ অক্টোবর দ্বিতীয় বারের মতো সময় পেছানো হয়। এর আগে, ১৩ অক্টোবর সাক্ষী হাজির করতে পারেনি প্রসিকিউশন। এজন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন প্রসিকিউটর মঈনুল করিম।

গত ৬ অক্টোবর নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। ওই দিন জবানবন্দি দেন পুলিশের দুই উপপরিদর্শক। তারা হলেন- এসআই রফিক ও এসআই রায়হানুল রাজ দুলাল। দুজনই জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরে তাদের জেরা করেন পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে চার স্টেট ডিফেন্সসহ গ্রেপ্তারদের আইনজীবীরা।

এর আগে, ২৯ সেপ্টেম্বর অষ্টম দিনের মতো সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়। ওই দিন জবানবন্দি দিয়েছেন তিনজন। ২২ সেপ্টেম্বর সপ্তম দিনে প্রথমে ছয় নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়া সিয়াম আহসান আয়ানকে জেরা করেন স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ২১ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য দেন আয়ান। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তিনিই আবু সাঈদকে হাসপাতালে নিতে সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন। নিজের সাক্ষ্যতেও পুরো বর্ণনা তুলে ধরেছেন এই সাক্ষী।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর পঞ্চম দিনের মতো জেরা শেষ হয়। ওই দিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার লাইব্রেরিয়ান আনিসুর রহমানকে জেরা করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর চতুর্থ দিনে পাঁচ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন তিনি। একই দিন এসআই মো. তরিকুল ইসলামও জবানবন্দি দেন।

৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলামের জেরা শেষ করেন স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ৭ সেপ্টেম্বর তিনি জবানবন্দি দেন। ওই দিন দ্বিতীয় সাক্ষী রংপুরে কর্মরত এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট একেএম মঈনুল হককেও জেরা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুর নগরীর লালবাগ এলাকা থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে বিক্ষোভ মিছিল এগিয়ে এলে অসংখ্য সশস্ত্র পুলিশ রাজপথে শিক্ষার্থীদের বাধা দেন। একপর্যায়ে রংপুর মহানগর পুলিশের (আরপিএমপি) সাবেক সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের পাঁচ সদস্য স্টিল ও কাঠের লাঠি দিয়ে আবু সাঈদের মাথায় আঘাত করেন এবং তাঁর মাথা দিয়ে রক্ত বের হয়। সেদিন দুপুরে পুলিশের সাবেক এএসআই আমির হোসেন প্রথমে আবু সাঈদকে গুলি করেন উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, প্রথম গুলিটি যখন আবু সাঈদের পেটে লাগে, তখন তিনি হতবাক হয়ে যান এবং আবার বুক প্রসারিত করে সেখানে দাঁড়িয়ে যান। সে সময় সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় তাঁকে পরপর দুটি গুলি করেন। এতে আবু সাঈদ সড়ক বিভাজক পার হয়ে বসে পড়েন। আবু সাঈদকে আনতে গিয়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাওহিদুর হকের শরীরে প্রায় ৬০টি ছররা গুলি লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সহযোদ্ধাদের বাহুডোরে আবু সাঈদ মারা যান।

পরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। সাবেক উপাচার্যসহ ২৪ জন আসামি পলাতক। অন্য ছয় আসামি কারাগারে আছেন। তাঁরা হলেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক সাবেক কর্মচারী আনোয়ার পারভেজ, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ।






আর্কাইভ