শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২
Swadeshvumi
বৃহস্পতিবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রচ্ছদ » জাতীয় » জুলাই সনদ: বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক
প্রচ্ছদ » জাতীয় » জুলাই সনদ: বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক
১২৪ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জুলাই সনদ: বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক

---

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে বেলা ১২টার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।

দিনব্যাপী এই বৈঠক বরাবরের মতো আজও বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। আলোচনার সূচনা বক্তব্যে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন,  সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ভর করছে। তবে এসব ক্ষেত্রে দলগুলোর ওপর কমিশন কিছুই চাপিয়ে দিচ্ছে না। আশা করছি এ পর্যায়ে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া সুপারিশ অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নেও আপনাদের সহযোগিতা ও সম্মতি আমরা পাবো।

এরপর বৈঠকের শুরুতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি সম্পর্কে সম্প্রতি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া মতামতগুলো কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ আকারে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তুলে ধরা হয়। লক্ষ্য জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি গড়তে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সম্মতি আদায় করা। আর সেটা সম্ভব হলে রাজনৈতিক দলগুলোর আজকের বৈঠকটিই হবে ঐকমত্য কমিশনের সর্বশেষ ও চূড়ান্ত বৈঠকী আয়োজন। তবে বিশেষ প্রয়োজনে এই আলোচনার সময় আরও বাড়বে কিনা তা আজকের বৈঠকের পর জানাবে কমিশন।

এদিকে, কমিশনের হাতে সময় খুব কম। কারণ এই কমিশনের বর্ধিত মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। কাজেই নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ সরকারের কাছে তুলে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করতে চায় ঐকমত্য কমিশন।

এর আগে অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে তারা রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সম্প্রতি কয়েক দফা আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন। এতে তারা কী প্রস্তাব দিয়েছেন, কোন দল কী প্রস্তাব দিয়েছে, তা সব দল আনুষ্ঠানিকভাবে জানে না। বৈঠকে সব প্রস্তাব সুপারিশ আকারে তুলে ধরা হবে। কারণ সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে সরকারকে সুপারিশ দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশন স্বচ্ছ থাকতে চায়। আর সেই লক্ষ্যেই কমিশনের এবারের বৈঠক আয়োজন।

সম্প্রতি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ বাস্তবায়নে বেশকিছু পরামর্শ এসেছে। এতে সনদের সংবিধান সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো রাষ্ট্রপতির বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নে কমিশনকে পরামর্শ দেওয়া কথা বলা হয়েছে। আর বাকি প্রস্তাবগুলো অধ্যাদেশ ও সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পুরো সনদকে তফসিল হিসেবে বা অন্য কোনোভাবে সংবিধানে যুক্ত করা হবে। ওই বৈঠকে বিশেষজ্ঞদের বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ সংক্রান্ত একটি খসড়া তৈরি করে দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। এতে জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য নয়, সংবিধানের অংশ করা হবে। এর আগেই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় গণভোটের চিন্তা বাদ দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে বাস্তবায়নের পদ্ধতি জুলাই সনদের অংশ হবে না। এটি সরকারকে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ বা পরামর্শ হিসাবে দেবে কমিশন। যেসব সংস্কার প্রস্তাবে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) আছে সেগুলোও সনদে উল্লেখ থাকবে। তবে এসব বাস্তবায়নে আলাদা কোনো পদ্ধতি উল্লেখ করা হচ্ছে না।

এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কে প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ মতামত পুনঃ পর্যালোচনায় গতকাল বুধবার সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই সভায় বিশেষজ্ঞগণের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত মতামত ও পরামর্শসমূহ পুনঃপর্যালোচনা করা হয়৷ একই সঙ্গে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া মতামতও পুনঃবিশ্লেষণ করা হয়।

এর আগে জুলাই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চলতি বছরের ২০ মার্চ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দু’দফায় ৩৫টির বেশি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ৬৭টি বৈঠক করে ঐকমত্য কমিশন। এসব আলোচনায় ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। তবে ১৪টি নোট অব ডিসেন্ট আসে। পরে সব প্রস্তাব নিয়ে তৈরি করা হয় জুলাই সনদের সমন্বিত খসড়া। সবশেষ সমন্বিত এই খসড়ার ওপর গত ১৬ আগস্ট ৩০টি রাজনৈতিক দলের কাছে মতামত চেয়ে চিঠি পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।






আর্কাইভ