শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২
Swadeshvumi
মঙ্গলবার ● ১৪ অক্টোবর ২০২৫
প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » ওএসডি করা হলো শিক্ষার ডিজিকে
প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » ওএসডি করা হলো শিক্ষার ডিজিকে
১২ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৪ অক্টোবর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ওএসডি করা হলো শিক্ষার ডিজিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নানা আলোচনা সমালোচনার মধ্য ওএসডি করা হলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) তাকে ওএস---ডি করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নজিরবিহীন পদক্ষেপের পর তিনি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন, যা কার্যত পদত্যাগ হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় মহাপরিচালক পদে কর্মরত থাকা অবস্থায়ই এই পদের জন্য নতুন করে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই মাউশির অভ্যন্তরে এবং শিক্ষা প্রশাসনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

দায়িত্বে থাকা একজন মহাপরিচালকের জন্য বিষয়টিকে ‘অপমানজনক’ হিসেবে দেখা হয় এবং এর জের ধরেই অধ্যাপক আজাদ খান পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। গত ৭ অক্টোবরের দিকে তিনি মন্ত্রণালয়ে তার অব্যাহতিপত্র জমা দেন।

অধ্যাপক আজাদ খান চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মাউশির মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তার সময়ে ইএফটিতে তথ্য সংশোধন, শিক্ষক বদলি এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন জটিলতা নিরসনে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন। তবে অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন মহলের অসহযোগিতার কারণে তার কাজে স্থবিরতা দেখা দেয় বলে জানা গেছে।

এদিকে, মহাপরিচালকের পদত্যাগের পরপরই অন্তর্র্বতী সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) দুটি পৃথক অধিদপ্তরে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন দুটি অধিদপ্তর হবে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এবং ‘কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর’। শিক্ষাখাতের সংস্কার ও কার্যক্রমের গতিশীলতা আনতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এই কাঠামোগত পরিবর্তনের কারণে মাউশির মহাপরিচালক পদে নতুন করে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুনর্গঠনের পর দুটি অধিদপ্তরের জন্য পৃথক মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। তবে পরবর্তী কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত মাউশির কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা এখনো পাওয়া যায়নি।






আর্কাইভ